ঝিনাইদহে একই সাথে দুটি অস্বাভাবিক জমজ কন্যা শিশু জন্মগ্রহণ করেছে।
শিশু দুটির সমস্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গ পৃথক ও স্বাভাবিক রয়েছে তবে এদের পরস্পরের
বুক থেকে নাভির উপর পর্যন্ত রয়েছে জোড়া লাগানো। তাদের দু-বোনের নাম রাখা
হয়েছে লাইবা ও রাবিবা। সদ্য প্রসূত শিশু দুটি বর্তমানে সুস্থ ও স্বাভাবিক
রয়েছে। তবে তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে অভিভাবকেরা দুঃশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে
পড়েছেন। প্রতিদিন তাদেরকে দেখার জন্য প্রচুর উৎসুক মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লৌহজঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে তাকিয়া ইসলাম লাবনীর বিয়ে হয় গত দু-বছর আগে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার বাগডাঙ্গা গ্রামের শুকুর আলী বিশ্বাসের ছেলে আলতাফ হোসেনের সাথে। স্বামী মালায়েশিয়া প্রবাসী হওয়ায় গর্ভবতী লাবনী বাবার বাড়িতেই বসবাস করে আসছে।
প্রথম থেকেই গর্ভবতী লাবনী পার্শ্ববর্তী মাগুরা শহরের গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাজিয়া সুলতানার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ৭ মাস যখন গর্ভবতী হলেন তখন তিনি মাগুরার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লাইজু আক্তারের নিকট আলট্রাসনো করে জানতে পারেন যে তার গর্ভের সন্তান টুইন। পরবর্তী মাসে পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি অবগত হন তার টুইন শিশু দুটি পরস্পরের শরীরের সাথে জোড়া লাগানো।
গর্ভবস্থায় তিনি বিশেষ কোন অসুবিধার সম্মুখীন হননি। ৯ মাস পূর্ণ হলে যশোর কুইন্স হাসপাতালে গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্গিস সুলতানা তাকে গত ২৬ মার্চ তারিখে সিজার এর মাধ্যমে সন্তান ভূমিষ্ঠ করেন।
কন্যা শিশু দুটির আলাদাভাবে দুটি মাথা, দুটি হাত, দুটি পা, দুটি চোখ, দুটি মুখ, প্রসাব-পায়খানার পথ সহ সমস্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গ স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু তাদের শরীরের বুক থেকে নাভির উপর পর্যন্ত জোড়া লাগানো রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এটাকে কনজেনটাল এ্যানোমালি টুইন বলছে। তারা দুই বোন যথেষ্ট হাশি-খুশি ও শান্ত প্রকৃতির। ঠিকমত দুধ পান করছে। তাদের পেশাব-পায়খানা স্বাভাবিক রয়েছে। শিশু দুটির অভিভাবকেরা তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ দিকে এই শিশুদের একনজর দেখার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছে।
শিশুদের মা তাকিয়া সুলতানা লাবনী ও নানী ফিরোজা পারভিন জানান, তারা তাদের নবাগত এই শিশুদের নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। এদের পৃথক করা যাবে কিনা সে বিষয়টি নিয়েও তারা বিপাকে পড়েছেন।
এ ব্যপারে তারা শিশু দুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে সহযোগীতা কামনা করেছেন।
এ দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.শ্যামল কুমার শাহা জানান, এটাকে কনজেনটাল এ্যানোমালি টুইন বলা হয়। এ বিষয়টি শিশু সার্জিকাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লৌহজঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে তাকিয়া ইসলাম লাবনীর বিয়ে হয় গত দু-বছর আগে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার বাগডাঙ্গা গ্রামের শুকুর আলী বিশ্বাসের ছেলে আলতাফ হোসেনের সাথে। স্বামী মালায়েশিয়া প্রবাসী হওয়ায় গর্ভবতী লাবনী বাবার বাড়িতেই বসবাস করে আসছে।
প্রথম থেকেই গর্ভবতী লাবনী পার্শ্ববর্তী মাগুরা শহরের গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাজিয়া সুলতানার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ৭ মাস যখন গর্ভবতী হলেন তখন তিনি মাগুরার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লাইজু আক্তারের নিকট আলট্রাসনো করে জানতে পারেন যে তার গর্ভের সন্তান টুইন। পরবর্তী মাসে পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি অবগত হন তার টুইন শিশু দুটি পরস্পরের শরীরের সাথে জোড়া লাগানো।
গর্ভবস্থায় তিনি বিশেষ কোন অসুবিধার সম্মুখীন হননি। ৯ মাস পূর্ণ হলে যশোর কুইন্স হাসপাতালে গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নার্গিস সুলতানা তাকে গত ২৬ মার্চ তারিখে সিজার এর মাধ্যমে সন্তান ভূমিষ্ঠ করেন।
কন্যা শিশু দুটির আলাদাভাবে দুটি মাথা, দুটি হাত, দুটি পা, দুটি চোখ, দুটি মুখ, প্রসাব-পায়খানার পথ সহ সমস্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গ স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু তাদের শরীরের বুক থেকে নাভির উপর পর্যন্ত জোড়া লাগানো রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এটাকে কনজেনটাল এ্যানোমালি টুইন বলছে। তারা দুই বোন যথেষ্ট হাশি-খুশি ও শান্ত প্রকৃতির। ঠিকমত দুধ পান করছে। তাদের পেশাব-পায়খানা স্বাভাবিক রয়েছে। শিশু দুটির অভিভাবকেরা তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ দিকে এই শিশুদের একনজর দেখার জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছে।
শিশুদের মা তাকিয়া সুলতানা লাবনী ও নানী ফিরোজা পারভিন জানান, তারা তাদের নবাগত এই শিশুদের নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। এদের পৃথক করা যাবে কিনা সে বিষয়টি নিয়েও তারা বিপাকে পড়েছেন।
এ ব্যপারে তারা শিশু দুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে সহযোগীতা কামনা করেছেন।
এ দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.শ্যামল কুমার শাহা জানান, এটাকে কনজেনটাল এ্যানোমালি টুইন বলা হয়। এ বিষয়টি শিশু সার্জিকাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।
0 comments:
Post a Comment